তিনটি কারণে এবার অনেকে আশা করেছিলেন জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন বর্জন করবে :
১. দলের নেতাকর্মী ও জনমতের প্রচণ্ড চাপ।
২. আন্দোলনরত দলগুলোর আহবান।
৩. মার্কিন নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা।
১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন নানা জল্পনা-কল্পনা বাতাসে ছড়িয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল, জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে। প্রথম আলো ওইদিন জানিয়েছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ রোববার সকাল থেকেই ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের একটি অংশ নির্বাচন বর্জনের দাবি জানিয়ে মিছিল করেছেন। তাঁরা ‘দালালি না রাজপথ’, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়, বর্জন বর্জন’ স্লোগান দিচ্ছেন।’ প্রথম আলো ওইদিন আরও জানিয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের বাইরে ও ভেতরে অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে ১৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠি পাওয়ার পর চিঠি পাওয়ার পর ১৪ নভেম্বর জিএম কাদের বলেছিলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার এখনও পরিবেশ তৈরি হয়নি। নির্বাচনে গেলে স্যাংশন আসারও সম্ভাবনা রয়েছে।’… ‘যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি এসেছে আমাদের কাছে। এই চিঠির গুরুত্ব অনেক। এটা যুক্তরাষ্ট্রের অফিশিয়াল চিঠি। তারা সংলাপ চাচ্ছেন। আমরাও সংলাপের কথা বলে আসছি। আমরা আর কোনো দলের মুখাপেক্ষী থাকতে চাই না। আমরা এখন দলগতভাবে অনেক শক্তিশালী।’… ‘আপনারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন সিদ্ধান্ত নেবার। নানা বিষয়ে আমাকে ভেবে দেখতে হচ্ছে। এই অবস্থায় যদি আমরা নির্বাচনে যাই আর যদি পরবর্তীতে সরকার সমস্যায় পড়ে তাহলে কী হবে? দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয় এবং সরকার যদি সংলাপ না করে তাহলে নির্বাচনে গেলে আমাদের ওপর স্যাংশন আসতে পারে। যদি আলাপ-আলোচনা না করে তাহলে সরকারের ওপর নিশ্চিতভাবে বড় ধরনের স্যাংশন আসতে পারে।’ (১৪ নভেম্বর, যুগান্তর)
ওইদিন কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি ওই সভায় মাঠপর্যায়ের নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন। এমনকি তারা বিএনপির সঙ্গে জোট বাধার কথাও বলেন।
জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে রাখার পদ্ধতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে খুব একটা খবর প্রচারিত না হলেও সকলেই বিষয় বুঝতে পেরেছেন, জাতীয় পার্টিকে চাপ দিয়েই নির্বাচনে রাখা হয়েছে। চাপের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও সংবাদমাধ্যমগুলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতার বিষয়টি সামনে আনে। সেগুলো মুখরোচক আলোচনা হিসেবে ব্যাপকভাবে চর্চিত হতে থাকে।
কিন্তু গুরুত্বের দিক থেকে চাপের ঘটনাটিই বেশি আলোচিত হওয়ার কথা ছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা সিংয়ের ঘটনার সঙ্গে এটি তুলনীয়। সেবার সুজাতা সিং জাতীয় পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদকে চাপ নিয়ে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় থাকতে বাধ্য করেছিলেন। অবশ্য শুধু চাপ দিয়েই নিবৃত থাকেনি প্রক্রিয়াটি। জোরপূর্বক এইচএম এরশাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জাতীয় পার্টির ভেতর ক্যু করে রওশন এরশাদের মাধ্যমে দলটিকে নির্বাচনে রেখেছিল। সেবার জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না গেলে নির্বাচন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এবার জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে নির্বাচন বানচাল হতো কি না ধারণা করা কঠিন। তবে, ২০১৪ সালের তুলনায় সরকার এখন অনেক বেশি শক্তিশালী ও প্রস্তুত। তৃণমূল বিএনপি, বিএসপি, বিএনএফ সফল হবে না এবং জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আসবে না- এটা ধরে নিয়েই তারা দলের স্বতন্ত্র/ডামি/বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রস্তুত করে রেখেছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সরকার থোড়াই কেয়ার করে। তারা যেনতেন প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ক্ষমতা নবায়ন করতে পারলেই খুশি।
তারপরও তারা জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে রেখেছে। রাখার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছে। এতে নির্বাচনটিকে খানিকটা অংশগ্রহণমূলক দেখানোর সুযোগ তাদের তৈরি হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে যাওয়ার বিপক্ষে থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই সরকারের নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। দীর্ঘ সময় জুড়ে আওয়ামী লীগের ওপর ভর দিয়ে জাতীয় পার্টি রাজনীতি করে যাচ্ছে। দলটির শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগকেই সরকার নানা লেনদেন ও সুবিধার জালে আটকে ফেলেছে। দলটিকে দুইভাগে ভাগ করে এর কার্যকারিতা অনেকটাই নষ্ট করে দিয়েছে। ফলে, দল হিসেবে জাতীয় পার্টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বাইরে যেতে পারবে না। এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বাড়তি চাপ দেওয়ার বা রওশন এরশাদ অংশকে মাঠে নামানোরও দরকার পড়ে না। জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির নীতি-নির্ধারকদের বেশিরভাগও সরকার নিয়ন্ত্রিত। তার পক্ষে এদের কথা উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তারপরও জিএম কাদের পাঁচটি কারণে পার্টিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
১. মৃদু হলেও তিনি অব্যাহতভাবে সরকারের সমালোচনা করেন, যা মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
২. এইচএম এরশাদ তাকে পার্টির উত্তরাধিকার হিসেবে মনোনীত করায় উত্তরাঞ্চলের ভোটব্যাংকের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও সারাদেশের নেতাকর্মীদের সমর্থন তিনি এনজয় করেন। সরকারের সিদ্ধান্তে অবিরত সমর্থন দিয়ে এবং এরশাদের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কারণে রওশন এরশাদ এই সমর্থন হারিয়েছেন।
৩. জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
৪. সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের মধ্যে জিএম কাদেরের এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা আছে।
৫. ভারতসহ বাইরের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেও জিএম কাদেরে যোগাযোগ আছে।
এ কারণেই জাতীয় পার্টির প্রায় সবকিছু সরকার নিয়ন্ত্রণ করলেও তারা মনে করেছে শেষ মুহূর্তে জিএম কাদের ভিন্ন কোনো অবস্থান নিতে পারেন। এ কারণেই তারা চাপ দিয়ে তাকে ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে রাখতে হয়েছে।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, জাতীয় পার্টির একটি অংশ নির্বাচন বর্জন করার পক্ষে ছিল। আরেকটি অংশ আসন বণ্টন নিয়ে সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করছিল। দুই অংশই মনে করেছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। সুষ্ঠু হবে না বলে বর্জনের পক্ষের অংশটি নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ছিল। আর যারা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে ছিল তারাও ১৪ দলের শরিকদের মতো মনে করেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ফলে, আগেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে যেতে চেয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত ২৬ টি আসনের রফা ও সরকারের চাপে এই অংশটি জয় লাভ করে। অবশ্য জিএম কাদের বলেছিলেন, ভিক্ষার আসন তিনি নেবেন না।
জিএম কাদের ভিক্ষার আসন নিতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এখন তার দলের অনেক নেতাই সগর্বে প্রচার করছেন তারা জাতীয় পার্টি মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। অনেকে নির্বাচনী পোস্টারে এইচএম এরশাদ বা জিএম কাদেরের ছবি না থাকলেও শেখ হাসিনার ছবি শোভা পাচ্ছে। তারা নির্বাচনী প্রচারে লাঙ্গল ও নৌকার পক্ষে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন।
এসবের মূল লক্ষ, জাতীয় পার্টি সামান্য হলেও যে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছিল তা ভুলিয়ে দেওয়া। কিন্তু এইচএম এরশাদ যে দেশের স্বার্থে ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তা তো সত্যি। এজন্য তাকে বেশ দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে। এবার জিএম কাদেরও হয়তো কিছুটা কম হলেও একই ধরনের দুর্ভোগে পড়েছেন।
তবে সব কিছুর পরও জাতীয় পার্টি আসন ভাগাভাগির রফা করে নির্বাচনে গেছে এবং প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। এবং এবারের নির্বাচনটি বিশেষ ধরনের কারণে তাদের সামনে বড় একটা সুযোগ হিসেবে ধরা দিয়েছে। কিন্তু, তারা সেটি কাজে লাগাতে পারছে না।
প্রথমত, ডামি বিরোধী দল হিসেবে যতটুকু সরকারের সমালোচনা করা যায় তাও তারা করছে না। বরং তারা যে সরকারের লোক সেটি তারা উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।
দ্বিতীয়ত, নানা সময়ে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানালেও ক্ষমতাসীন হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করেনি।
তৃতীয়ত, বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-জেল-জুলুম বন্ধে তারা কী করবে, তা বলেনি।
এই তিনটি কাজ সফলভাবে করতে পারলে জাতীয় পার্টি এবারের নির্বাচনে বেশ ভাল করতে পারতো বলে ধারণা করা যায়। অন্তত, ইসলামী আন্দোলনের কাছ থেকে তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে পারতো।
প্রথম আলো জানাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শুরুতে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। বাছাই ও আপিল শেষে তাদের বৈধ প্রার্থী ছিল ২৯৩ জন। সমঝোতার মাধ্যমে ১৪–দলীয় জোটের শরিক এবং বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে ৩২টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব আসনের দুটিতে আগ থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা প্রতীকের) দেয়নি। বাকি ৩০টি আসনে গতকাল নৌকার প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আছে ২৬৩ আসনে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী আছে ২৮৩টি আসনে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছে জাতীয় পার্টি।
এই নির্বাচনে প্রার্থীদের বড় অংশই স্বতন্ত্র। ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে প্রার্থী আছে ২৭টি দলের। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আছে ২৬৩ আসনে। দলটির আরও ২৬৯ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন; যাঁরা ইতিমধ্যে ‘আওয়ামী স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে ভোটের মাঠে পরিচিতি পেয়েছেন। এর মধ্যে ২৮ জন বর্তমান সংসদ সদস্যও রয়েছেন, যাঁরা এবার দলের মনোনয়ন পাননি। কোনো কোনো আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের বাইরেও কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। মোট স্বতন্ত্র প্রার্থী চার শর কাছাকাছি।
তার মানে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছে ২৬৩ আসনে। দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে ২৬৯ আসনে। প্রত্যেকটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিজের দলের ডামি প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবেন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের ভোট দুই ভাগ হয়ে যাবে। কোথাও কোথাও ভোট তিনভাগ হয়ে যাবে।
জাতীয় পার্টি লড়ছে ২৮৩টি আসনে। ২৬টি ছেড়ে দেওয়া আসনের মধ্যে বেশিরভাগে তারা বিজয়ী হয়ে আসবে বলে ধারণা করা যায়। কিন্তু, বাকী আসনগুলোতে তারা ভোট টানার চেষ্টা করবে কি? এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, করবে না।
কিন্তু করলে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটতেও পারতো।
অবশ্য, সেজন্য সবার আগে দরকার শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ। আমরা ধরেই নিচ্ছি, ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলকে দেখানোর জন্য হলেও যদি সরকার শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট করতে দেয়, তাহলে কী ঘটতে পারে?
সরকারের সকল চেষ্টা সত্ত্বেও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ভোট বর্জনের আহবান সফল হবে বলে আশা করা যায়। অর্থাৎ, বিরোধী দলের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ১০% থেকে ১৫%-এর বেশি ভোট পড়ার সম্ভাবনা কম। এর মধ্যে একটা অংশ থাকবে সাধারণ মানুষ, যারা সরকারের চাপে ভোট দিতে যাবে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ভোট দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেলে নির্ধারক ভূমিকা পালন করবে এই সাধারণ ভোটাররা। এই ভোট নৌকার বাইরে কোনো নির্দিষ্ট মার্কায় পড়তে থাকলে তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ডামি প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে মাত্র ১ বা ২ শতাংশ ভোটের ব্যবধান বড় পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে।
কিন্তু জাতীয় পার্টি এখন পর্যন্ত কোনো বড় আহবান জানাতে পারছে না। আগামী কয়েকদিনে পারবে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে হলে জাতীয় পার্টির সামনে এটাই শেষ সুযোগ।
Discussion about this post