বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক তৎপরতা দেশে বিপুলভাবে সমাদৃত হচ্ছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ফ্রি, ফেয়ার ও পিসফুল এই তিনটি শব্দ বারবার ব্যবহারের পাশাপাশি ক্রেডিবল শব্দটিও মাঝে মাঝে ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারা সচেতনভাবে ইনক্লুসিভ ও পার্টিসিপেটরি শব্দ দুটো এড়িয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হলে সেটাকে যে অবশ্যই অংশগ্রহণমূলকও হতে হবে, এটা সবার জানা কথা। আলাদা করে বলার মতো কিছু নয়। কিন্তু, বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তাতে সবকিছু আলাদা করে বলতে হয়। কেননা ক্ষমতাসীন সরকার বিস্ময়করভাবে মনে করে, প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও সে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে। নানা কারণে এবার অনেকেই মনে করছেন সরকার সম্ভবত বিএনপিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে ২০১৪ সালের মডেলে একটি নির্বাচনের কথা ভাবছে। সেই নির্বাচনে বিভিন্ন ছোট দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকার নানা তৎপরতাও চালাচ্ছে, যাতে তারা দেখাতে পারে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এই পরিকল্পনা থেকেই তারা চাইছে আমাদের বিদেশি বন্ধুরা যেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা না বলেন। ফলে অংশগ্রহণমূলক কথাটা তো বলতেই হবে সঙ্গে স্পষ্টভাবে এটাও বলার সময় এসেছে যে, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে হবে এবং এজন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলোও সরকারকেই করতে হবে।
ধীরে ধীরে অবশ্য বিদেশী বন্ধুরা অংশগ্রহণমূলক কথাটা বলতে শুরু করেছেন। এ কাজে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক। তিনি বারবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথাটি বিভিন্ন ফোরামে তুলছেন।
গত ১৩ জুলাই ঢাকা সফরকালে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া মাত্র একবারের জন্য অংশগ্রহণমূলক কথাটি উচ্চারণ করেছেন। আর কোনো মার্কিন কূটনীতিক স্পষ্টভাবে এই কথাটি উচ্চারণ না করলেও বাংলাদেশ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস কথাটি বলেছেন। ২৪ আগস্ট বিকেলে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “ফ্রি, ফেয়ার, ইনক্লুসিভ, পিসফুল একটা নির্বাচন বাংলাদেশে হোক, এটাই তারা (জাতিসংঘ) চায়।
ওবায়দুল কাদেরের মুখ থেকে এ ধরনের কথা শোনার গুরুত্ব অনেক বেশি। বিদেশীরা কোন কোন শব্দ বলল ও কোন কোন শব্দ বলল না সে বিষয়ে তিনি সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। বিভিন্ন বৈঠক শেষে তিনি অনেকবারই সাংবাদিকদের বলেছেন বিদেশীরা তাকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি।
যেমন ১৪ জুলাই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছে।
সে দিক থেকে জাতিসংঘ যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে থাকে এবং ওবায়দুল কাদের যদি সেটা বলে থাকেন তবে এর তাৎপর্য অনেক বেশি।
সম্প্রতি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের সমর্থনে বিশ্বের নোবেল বিজয়ী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা যে বিবৃতি দিয়েছেন তাতেও তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা স্পষ্ট ভাবে বলেছেন। এমনকি তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার কথাও প্রকারান্তরে উচ্চারণ করেছেন।
তারা বলেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি যে হুমকি দেখা গেছে, তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং নির্বাচনকালীন প্রশাসন দেশের প্রথম সারির দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিগত দুটি নির্বাচনের বৈধতার ঘাটতি রয়েছে।…
পাশাপাশি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করবেন। একই সঙ্গে সব ধরনের মানবাধিকার রক্ষার প্রতি সম্মান দেখানো নিশ্চিত করবেন। আগামী দিনগুলোতে এসব বিষয়ের সুরাহা কীভাবে হবে, তা দেখার জন্য বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ নজর রাখছে। আমরাও সেই সব মানুষের কাতারে রয়েছি।
তবে অংশগ্রহণমূলক কথাটার গুরুত্ব ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক যেভাবে ধরতে পেরেছেন তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তার সিরিয়াসনেস বুঝতে মানবজমিনের একটি নিউজ থেকে উদ্ধৃতি দেওয়া যায় :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ আগস্ট গণভবনে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। ওই সাক্ষাতের পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সারাহ কুককে উদ্ধৃত করে তার বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপে সারাহ কুক বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য। দেশের সকল গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপে বৃটিশ হাইকমিশনার কেবল অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথাই বলেন নি; অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথাও বলেছেন। আজ (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এক টুইটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকমিশনারের ছবি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। হাইকমিশনার বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে উৎসাহিত করেছেন। (মানবজমিন, ১৫ আগস্ট ২০২৩)
আরেকটি সংবাদ : বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে পারেন। গতকাল ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। (মানবজমিন, ২৮ আগস্ট ২০২৩)
৩০ আগস্টের পত্রিকায় মানবজমিন সারাহ কুকের ভূমিকার একটি মূল্যায়ন করেছে তারা লিখেছে, অব্যাহতভাবে একটি বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন লেভেলের সাক্ষাৎ-বৈঠক এমনকি সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি অভিন্ন বার্তা স্পষ্ট করেছেন। তাহলো- আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এখনই বিরোধী দল এবং ভিন্নমতের লোকজনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, আশঙ্কা এবং অবিশ্বাস দূর করতে হবে। এমন কোনো ম্যাকানিজম বের করতে যাতে স্টেকহোল্ডাররা এটি বিশ্বাস করেন যে, নির্বাচনটি অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, সেই সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সবার সমান সুযোগ থাকবে। বিরোধীদের আস্থায় নেয়ার এই উদ্যোগ সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন যে কেউ নিতে পারে। দায়িত্বশীল একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মানবজমিনকে জানিয়েছে, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিয়ে শঙ্কিত বৃটেন। এ জন্য হাইকমিশনার এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা সফর করে যাওয়া বৃটিশ সরকারের প্রতিনিধিদের প্রায় সকলেই দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছেন। (মানবজমিন ৩০ আগস্ট)
তবে সারাহ কুক বা গোয়েন লুইস বা মার্কিন প্রতিনিধিরা যাই বলুন না কেন, ২০২৩ সালের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এরই মধ্যে চরমে পৌঁছেছে।
২০১৪ সালে যে জাতীয় নির্বাচনটি হয়েছে তাতে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি বা নানা কৌশলে বিএনপিকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। যেসব আসনে নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে ভোট পড়েছে খুবই কম। সম্ভবত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সেবার।
২০১৮ সালের নির্বাচনে অবশ্য ইতিহাসের সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা যায়। বিএনপি অংশ নিলেও এই নির্বাচনে রাতের বেলা ব্যালট বাক্স ভরে অধিকাংশ নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করা হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়। এই দুটি নির্বাচন করার পরও আওয়ামী লীগ বড় কোনো প্রতিরোধের মুখোমুখি না হয়ে ১০ বছর ধরে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে পেরেছে। তারা চায়, এভাবেই ক্ষমতাসীন হয়ে থাকতে। ফলে অবাধ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে তারা অনাগ্রহী। শব্দের মারপ্যাঁচে বিদেশি বন্ধুদের আহ্বানকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতে তারা বরাবরই পারদর্শী। কিন্তু নানা দিক থেকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে কথাবার্তা ওঠায় এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের একটি মূল্যায়ন ও ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। সে ব্যাখ্যাটি প্রথম আলোর একটি সংবাদ থেকে তুলে দেওয়া হলো :
২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, অনেকেই আগামী নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায়। অংশগ্রহণমূলক করতে আপনি কী উদ্যোগ নেবেন?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অংশগ্রহণটা কার অংশগ্রহণ? আমার কাছে অংশগ্রহণ হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ ভোট দেবে। সেই ভোটে যারা জয়ী হবে, তারা সরকারে আসবে।’
বিরোধী দলের অংশগ্রহণ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অংশগ্রহণ বলতে কাদের অংশগ্রহণ? ভোট চোর, ভোট ডাকাতদের? দুর্নীতিবাজ, মানি লন্ডারিং, খুনি, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলাকারী, জাতির পিতার হত্যাকারী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী—তাদের অংশগ্রহণ? এটা কি জনগণ চায়? তারা অংশগ্রহণ করলেই বৈধ হবে। আর অন্য কেউ করলে হবে না, এটা তো হতে পারে না।’
বিএনপির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি তো মাত্র ৩০টা সিট (সংসদের আসন) পেয়েছিল। এর পর থেকে তারা তো আর ইলেকশনে অংশগ্রহণ করে নাই। তারা শুধু বাণিজ্য করে নমিনেশন বেচে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘হয়তো নমিনেশন বেচবে, বাণিজ্য করবে। কিছু টাকা গুলশান অফিসে,আর মোটা অঙ্ক যাবে লন্ডনে। এই তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ। এরপর নিজেরাই ভোটকেন্দ্রে একটা সমস্যা বাধিয়ে বলবে, এই তো আমরা ইলেকশন করতে পারলাম না। উইথড্র (প্রত্যাহার) করলাম। এখন অংশগ্রহণ অংশগ্রহণ করে যারা অস্থির হচ্ছে, তাদের কাছে আমার এটিই প্রশ্ন।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ বলতে জনগণের অংশগ্রহণের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যতগুলো উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো, জনগণ কি অংশগ্রহণ করেনি? অংশগ্রহণ তো করেছে। সেটাই তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলো। (প্রথম আলো, ৩০ আগস্ট ২০২৩)
Discussion about this post