মূল্যস্ফীতি, ডলার-সংকট ও গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চাপে রয়েছে দেশের বিভিন্ন শিল্প উৎপাদন খাত। ব্যাংকে ডলার-সংকটের কারণে ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। ডলারের বিনিময় মূল্যের অস্থিরতাও কমেনি। শুরুতে এই সাময়িক সংকট বলা হলেও এখন মনে হচ্ছে সামনে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। সেই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এসব কারণে একদিকে বিভিন্ন শিল্প খাতে চলমান বিনিয়োগ প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কমেছে, অন্যদিকে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারাও নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
বিনিয়োগ না বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হিসাবে- চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মার্কিন ডলার সংকটে আমদানি অসুবিধা এবং ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি ইত্যাদিকে দায়ী করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, যা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এটি চাকরি প্রার্থীদের জন্যও একটি নেতিবাচক সংবাদ, কারণ বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে না। একইসঙ্গে এটি অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। যা চলতি অর্থবছরে সরকারের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাধা হতে পারে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। কারণ, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও বহিস্থ চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুরো বছরজুড়ে চাপে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশের ওপর সম্প্রতি জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক সংস্থা জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এ দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী জাপানি কোম্পানিগুলোর ওপর করা একটি জরিপের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক এবং তারা এ দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। কিন্তু জরিপে অংশ নেওয়া ৭১ শতাংশ জাপানি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে এ দেশে বিনিয়োগ রয়েছে জাপানের উদ্যোক্তাদের। এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বিএসইজেড) বা জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথা বলা যায়। সেখানে শিল্প স্থাপনের জন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠান জায়গা বরাদ্দ পেয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু করেছে মাত্র একটি কোম্পানি। জেট্রোর জরিপে বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার উদ্বেগ ছাড়াও দেশের শুল্কায়ন ব্যবস্থার জটিলতা, ডলারের দামের অস্থিরতা, দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি, মজুরি বৃদ্ধি, স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল কেনার জটিলতা, বিদ্যুতের সমস্যা ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাধা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুসারে, ২০১৮-১৯ বছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বেসরকারি বিনিয়োগ ছিল ২৫.২৫ শতাংশ। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ২৩.৬৪ শতাংশে। অর্থাৎ পাঁচ বছরেও প্রবৃদ্ধি বাড়েনি।
গত এক বছরের ব্যবধানে প্রকৃত জিডিপিতে দেশের শিল্প উৎপাদন খাতের অবদানও কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) জিডিপিতে শিল্প উৎপাদন খাতের অবদান ছিল ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ। অনেক উদ্যোক্তাই মনে করেন, যেকোনো সাধারণ নির্বাচনের আগে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রবাহ সাধারণত কম থাকে। কিন্তু, এ বছরের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে।
এখানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধনের বিষয়টি ধরা যাক, যা গত অর্থবছরের চেয়ে কমেছে। গত অর্থবছরের মে-জুলাই এই তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে ৩৯ শতাংশ। বিডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন খাতে ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভব্য রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক। সামষ্টিক অর্থনৈতিক দুর্বলতা, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাংক সুদের উচ্চ হার এবং আমদানি বিধিনিষেধ বিনিয়োগ আগ্রহে প্রভাব ফেলেছে। যদিও সব বিনিয়োগ প্রস্তাব পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয় না, কিন্তু এটি বিনিয়োগ পরিস্থিতি ও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের একটি সূচক হিসাবে চিহ্নিত। এবং এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যও সমভাবে প্রযোজ্য।
আবার অনেকের মতে, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার মূল কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বর্তমান ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ভাঙন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি শুরু হয়েছে। এই বাহ্যিক কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগ কমেছে। এই যুদ্ধের চেইন রিঅ্যাকশন হিসেবে টাকার ওপর চাপ পড়ে, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরও চাপ পড়ে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে যাই হোক না কেন, দেশে যদি সুশাসনের বিষয়গুলো সমাধান না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ আরও কমে যাবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের (এলসি) তীব্র পতন এবং এ বছরও নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকায় বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহের অভাব বেশ ভালোভাবেই দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার হার আগের বছরের চেয়ে ২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ঋণপত্র নিষ্পত্তি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কমে ৪৯০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে চামড়া শিল্পে, এরপর আছে পাট ও প্যাকিং খাত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ওষুধ শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার কমেছে ৬৫ শতাংশ। একইভাবে জুলাই-আগস্ট সময়ে পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাতের টেক্সটাইল মেশিনারিজের জন্য ঋণপত্র খোলার হার ৫৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়া, অন্যান্য শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির জন্যও ঋণপত্র খোলার হার কমেছে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণের মন্থর প্রবৃদ্ধির কারণে ঋণের চাহিদাও কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।
দেশে গত জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এটি গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে গত মাস পর্যন্ত ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ১১২/১১৩ টাকা, যা ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ৮৫ টাকার আশপাশে। ডলারের এ মূল্যবৃদ্ধিতে পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি খরচও বেড়ে গেছে। আবার চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। ফলে কমে গেছে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র খোলার পরিমাণ প্রায় ৫৫ শতাংশ কমেছে।
সরকার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সার ও চা শিল্প ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে গ্যাসের প্রতি ইউনিটের দাম বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। শিল্পভেদে এই দাম বেড়েছে ৮৭ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও বেড়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে শিল্পকারখানায় পণ্য উৎপাদন বা নতুন শিল্প স্থাপনে খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এ কারণে ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা।
এমনিতেই দেশের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নীতিগত সমস্যা তো দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। তার সঙ্গে বর্তমানে ডলার-সংকটের মতো কিছু বিষয় নতুন করে যোগ হয়েছে; যার প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগ ও পণ্য উৎপাদনে। এসব কারণে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আর যাঁদের আগ্রহ রয়েছে, তাঁরাও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সময় নিচ্ছেন।
আবার বর্তমানে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ও (এফডিআই) কমে গেছে। কারণ, বিদেশিরা এ দেশে নতুন বিনিয়োগে তেমন আস্থা পাচ্ছেন না। ব্যবসা সহজীকরণে পিছিয়ে থাকা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা, তথ্যের ঘাটতি, দক্ষ শ্রমিকের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশিরা এ দেশে মূলধনি বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে না। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হলে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। এক জরিপে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক কমেছে। অন্যদিকে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোয় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। অথচ দেশের বর্তমান বাস্তবতায় বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বেশি দরকার। এর প্রধান কারণ, বিদেশিরা এখন নতুন বিনিয়োগে আস্থা পাচ্ছে না। কেন এমনটা হচ্ছে, তার কারণ অনুসন্ধান করে দেখা দরকার। এবং বিনিয়োগকারীদের অনাস্থার এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
বলা হচ্ছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সার্বিক বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় মূলধনি বিনিয়োগ কমেছে। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) ও ইপিজেড–বহির্ভূত উভয় ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বেশির ভাগ বিদেশি বিনিয়োগই হয়েছে পুনর্বিনিয়োগ আকারে। এই ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ কতটা আসছে বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার, যারা এখানে অনেক দিন ধরে ব্যবসা করছেন, তারাই মুনাফার একটি অংশ আবার বিনিয়োগ করেন। সেটা এফডিআইয়ে দেখানো হচ্ছে। সে জন্য নতুন বিনিয়োগের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সংস্লিষ্টদের লক্ষ্য হওয়া উচিত নতুন বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কীভাবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া। দেশে বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হয়েছে। এখন কীভাবে এক দরজায় সব সেবা দিয়ে বিদেশিদের সেখানে আকর্ষণ করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, বিনিয়োগ একটি দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত, তাই বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশ প্রয়োজন। এছাড়া দেশের দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তবে এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য হয়তো বা আগামী নির্বাচনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
Discussion about this post