পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। তিনি আগে থেকেই বেশ আলোচিত কর্মকর্তা। তিন ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর তাকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে এই ঘটনায় যুক্ত হয়েছে আরও নানা চরিত্র, আরও ঘটনা। বলতে গেলে রহস্যোপন্যাসের মতো পর্বে পর্বে উন্মোচিত হচ্ছে ঘটনার জট। সঙ্গে তৈরি হচ্ছে অনেক প্রশ্ন।
প্রথম প্রশ্ন ওঠে ঘটনার প্রথম দিনেই। এডিসি হারুন পেটানোর জন্য খ্যাতি পেয়েছিলেন। সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, তার পরিচয় ‘তিনি শুধু পেটান’। যদিও এতদিন তার পিটুনি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল বা সাংবাদিক ছাড়া সরকার দলীয় কারো কোনো উদ্বেগ, সমালোচনা এতদিন চোখে পড়েনি। কিন্তু যখন সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের নেতারা তার নিপীড়নের শিকার হলেন তখন এ নিয়ে সরকারি মহলে শোরগোল পড়ে গেল। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থাও নিলো পুলিশ প্রশাসন। প্রথমে এখনকার দায়িত্ব থেকে আরেক দায়িত্বে সরিয়ে দেওয়া হলো। পরে বদলি করা হলো। শোনা গেল যে, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু শেষে জানা গেল আরেক জায়গায় তাকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। স্বভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, ছাত্রলীগের নেতারা মার খেয়ে দাঁত না হারালে কি তার বদলির কথাও উঠতো?
এ বিষয়ে সংবাদপত্রের প্রতিবেদন এবং বিরোধী দলগুলোর বক্তব্য দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়, এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো না। বরং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালালে পুলিশে পদোন্নতি ও ভাল পোস্টিং পাওয়া যায় বলে অভিযোগ আছে।
বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এডিসি হারুনের নিপীড়নের চিত্র পাওয়া যায়। যেমন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডেইলি স্টার অনলাইন বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘গত ৭ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামি আবদুল্লাহ। তখন তার মাথায় ১৪টি সেলাই। এই শিক্ষার্থী জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শাহবাগে একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেদিন ‘শান্তিপূর্ণ’ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ব্যাপক লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে তিনিসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। সেদিনের ঘটনায় নেতৃত্বে দেন রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। এডিসি হারুন সম্পর্কে এ ধরনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের মন্তব্য হলো ‘তিনি (এডিসি হারুন) শুধু পেটান।’’
এ ধরনের আরো ঘটনা নিয়ে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও হারুনের মারধরের কীর্তি নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
যেমন প্রথম আলো জানাচ্ছে, ‘গত ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের মারধর করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন এডিসি হারুন। মারধরের পরদিন সুপ্রিম কোর্ট ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে যান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। সেখানে সাংবাদিকরা পুলিশের জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন এডিসি হারুনকে সতর্ক করার জন্য। ওই বৈঠক চলাকালে টেলিফোনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকারের কাছে সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।’
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠনগুলো।
ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থকে বলা হয়, এডিসি হারুন শাহবাগ থানায় রিমান্ডরত ছাত্রনেতার মুখে মরিচ দিয়েছিলেন। বিরোধীদলের কর্মীদের নিয়মিত নির্যাতন করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একই বক্তব্য দিয়েছে বিরোধী অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও।
ফলে প্রথম প্রশ্নের সহজ উত্তর- ছাত্রলীগ বা সরকারদলীয় ছাড়া অন্য কারো ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন চালালে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হতো না। দুঃখ প্রকাশেই সেরে ফেলা হতো সব দায়। অবশ্য কারো কারো মতে, ছাত্রলীগ নেতার দাঁত উপড়ে না ফেললে এবারও খুব একটা কথা উঠতো না।
আরেকটি প্রশ্ন উঠেছে ছাত্রলীগের ভূমিকা নিয়ে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কোনো বিবৃতি দেয়নি, লিখিত প্রতিবাদ জানায়নি। কেন্দ্রীয় কোনো নেতা সাংবাদিকদের সামনে এসে এ ইস্যুতে কথা বলেননি। জানা যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে তারা শুধু এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে চাপ দিয়েছেন। অর্থাৎ ছাত্রলীগ বিষয়টিকে নিজেদের ভেতরের ঘটনা হিসেবে মনে করেছে এবং মীমাংসা করে ফেলতে চেয়েছে। তারা মামলা করতেও রাজি হয়নি। যদিও দেশব্যাপী আলোচিত এ ঘটনায় মামলা না হওয়ায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ বলছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ না চাওয়ায় এখনো পর্যন্ত মামলা করেনি নাঈমের পরিবার। এসব প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের বিভাগীয় তদন্তের ওপর আস্থা রাখার কথাই জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
যদিও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা বলছেন, থানায় নিয়ে নির্যাতন ফৌজদারি অপরাধ। এ ধরনের নির্যাতন ঠেকাতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন রয়েছে।
সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি আদেশেও বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় একজন পুলিশ কর্মকর্তার এমন আচরণ আইন ও নীতিবিরুদ্ধ। কমিশন মনে করে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন।
ছাত্রলীগের মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হলে কেমন ফলাফল আসবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। শনিবার রাতের হামলার পর মঙ্গলবার থেকে নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হচ্ছে। যে কারণে এডিসি হারুন আসলে এ ঘটনায় কতটা দোষী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ব্যাপারটাকে ত্রিভুজ প্রেম, পরকীয়া- এসবের দিকে ঘুরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রচার-প্রচারণাও চোখে পড়ছে।
এডিসি হারুন তিন ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করেন গত শনিবার রাতে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে বারডেম হাসপাতাল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওসি তদন্তের কক্ষে আটকে রেখে এডিসি হারুনের নেতৃত্বে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
হারুনের মারধরের শিকার ছাত্রলীগের তিন নেতা হলেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
নির্যাতনের শিকার আনোয়ার হোসেন নাঈম বলেন, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক তার এলাকার বড় ভাই। তাদের বাড়ি গাজীপুরে। আজিজুল শনিবার সন্ধ্যায় ফোন করে তাকে ঢাকার শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে যেতে বলেন। রাত ৮টার দিকে তিনি সেখানে যান।
তিনি বলেন, বড় ভাই বারডেম জেনারেল হাসপাতালে আছেন জেনে সেখানে ছুটে যাই। হাসপাতালের চারতলায় গিয়ে দেখি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক ও পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে। আমিসহ ছাত্রলীগের আরও দুই নেতা মিলে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি।
নাঈম বলেন, এডিসি হারুন ঘটনার একপর্যায়ে শাহবাগ থানার ওসিকে (তদন্ত) ফোন করে হাসপাতালে ডেকে নেন। পুলিশ গিয়ে আজিজুল, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে মারধর করে। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ জোর করে আজিজুলসহ তিন–চারজনকে গাড়িতে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে রমনা বিভাগের উপকমিশনারকে (মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন) মারধরের ঘটনাটি জানিয়ে শাহবাগ থানায় যাই। গিয়ে দেখি ওসি তদন্তের কক্ষে সবাইকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। এডিসি হারুন ও ওসিও মারধর করছেন। ওসির কক্ষের দরজা টেনে ভেতরে ঢুকতেই ১০ থেকে ১৫ জন আমার ওপর হামলা করেন। আমার মুখে কিলঘুষি মারেন। একপর্যায়ে আমাকে নিচে ফেলে পা দিয়ে লাথি মারেন।’
শনিবার রাতেই নির্যাতনের এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। তখন এডিসি হারুন, রাষ্ট্রপতির এপিএসের সঙ্গে আরেকটি নাম পাওয়া যায়। তিনি অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন। অনেকেই অনুমান করেন, এ তিনজনের মধ্যে কোনো টানাপোড়েনের জেরে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য ফেসবুকের এ প্রোপাগান্ডা বিষয়ে সানজিদা মঙ্গলবার রাতে সমকালকে বলেন, ‘সোস্যাল মিডিয়ার আমি বুলিংয়ের শিকার। অনেকে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। একটি ছবি ছড়িয়ে দিয়ে হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনী প্রচার করছে। যে কেউ ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবে- ওই ছবির নারী আমি নই। এর আগে অনেক ইস্যুতে অনেকেই বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এবার আমি এর শিকার।’
সানজিদা আরও বলেন, ‘হাসপাতালে কী ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে পুরো বিষয় বেরিয়ে আসবে। ঘটনার দিন হাসপাতালে আমার স্বামী পৌঁছার পর আমাকে কোনো কিছু নিয়ে প্রশ্ন করেননি। আমার স্বামী প্রথম এডিসি হারুন স্যারের ওপর চড়াও হন।’
এডিসি হারুনের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধুমাত্র আমার কলিগ। তবে হারুন স্যারের সহযোগিতা নিয়েছিলাম। তিনি আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।’
তবে তিনি একবারও ছাত্রলীগের তিন নেতার ওপর বর্বরোচিত হামলার বিষয়ে কিছু বলেননি। এ নির্যাতনকে দোষারোপ করেননি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকই প্রথমে এডিসি হারুন অর রশিদের ওপর হামলা করেছিলেন। এটাও তদন্ত হওয়া উচিত।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক) একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি পুলিশের ওপর প্রথমে হামলা করেন। তিনি ইচ্ছা করলে আমাদের (পুলিশ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন, অবহিত করতে পারতেন। অথবা তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন। সেটি না করে হাসপাতালের ভেতরে অসংখ্য মানুষের সামনে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ধাওয়া করা, তার চশমা ভেঙে ফেলা, তার ওপর আঘাত করা— এটা সঠিক করেছেন কি না, আমি জানি না। তবে এটার তদন্ত হওয়া উচিত’।
মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ জানান, বারডেম হাসপাতাল থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনের ঘটনা শুরু হয়। যদিও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা যেমন আইজিপি বা ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, ‘ব্যক্তির দায় পুলিশ নেবে না।’
থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর এডিসি হারুনকে প্রথমে এবিপিএনে বদলি করা হয়। তবে তা নিয়ে সমালোচনা ওঠায় তাকে বরখাস্ত করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর আবার রংপুর ডিআইজি রেঞ্জে তাকে সংযুক্ত করা হয়। এডিসি সাজিদাকেও রংপুরে বদলি করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার রাতে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার অবশ্য ডিএমপি জানায়, সানজিদাকে রংপুর বদলি করা হয়নি।
Discussion about this post