বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিবছর ১০ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। আপনি যখন এ লেখাটা পড়ছেন ঠিক তখনই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কেউ না কেউ নিজেকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। প্রতি বছর পৃথিবীতে যত মানুষ অন্যকে হত্যা করে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ নিজেকে হত্যা করে। যত মানুষ নিজেকে হত্যা করে তার চেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষ নিজেকে তিলে তিলে কষ্ট দেয়। অবসাদ-বিষণ্নতা- নেশাগ্রস্ততা-নিঃসঙ্গতায় আক্রান্ত হয়ে শেষ হয়ে যায়। সেগুলোকে হয়তো আমরা আত্মহত্যা বলি না। কিন্তু, সেগুলোও একপ্রকার আত্মবিনাশই।
আত্মবিনাশের সমস্ত আয়োজনই মানুষ সম্পন্ন করে বসে আছে । প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় তেরো লাখ মানুষ, প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ২৮৭ জন করে। বাংলাদেশেই বছরে পাঁচ-সাত হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায়। আপনি কি মনে করেন এসব শুধু চালকদের বেপরোয়া মনোভাব আর অতিরিক্ত গতির কারণে? না। এ গতি তার পায় কই? এ সমাজ থেকেই। সমাজই লাগামছাড়া গতিশীল, গরিব ড্রাইভারকে দোষ দিয়ে লাভ কী! দোষটা কি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর? তাও না, ওই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টিও এই সমাজেই। সমাজের প্রতিটা বিশৃঙ্খলার জন্য প্রতিটা মানুষ দায়ী, আর আমি নিজে সবচেয়ে বেশি দায়ী। আমি সচেতন হই নাই, অন্যকেও সচেতন করি নাই, আমি আমার দায়িত্ব পালন করি নাই। এবং তার জন্য আমার নিজের মৃত্যুও যখন একদিন এমন অতর্কিতে নেমে আসবে তার জন্যও আমি কাউকে দোষ দিতে পারব না।
সড়ক দুর্ঘটনা একটা উদাহরণ। এরকম আরো অসংখ্য উদাহরণই আনা যায়। যেমন হৃদরোগ কিংবা ব্রেন স্ট্রোক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে, প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে দেড় কোটির ওপর মানুষ মারা যায় এই দুটি রোগে। এর জন্য কি আমরা নিজেকে দায়ী করতে পারি? এর জন্য তো কোনো আইন নাই, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োজিত নাই, ডাক্তাররা আছেন বটে, কিন্তু, তারা তো তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, তাহলে আমার দায় কী? আমি মনে করি আমারও দায় আছে, কারণ, আমি নিজে সচেতন হই নাই, এবং কাউকে সচেতনও করি নাই। একমাত্র স্বাস্থ্য- সচেতনতাই তো আমাদের এ ঝুঁকি থেকে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু, আমাদের খাদ্যে ভেজাল, বায়ু দূষিত, এবং আমরা নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলি না। অসুস্থ হলে আমরা ডাক্তারের কাছে যাই, তিনি আমাদের গলা কেটে সেবা দেন, নতুন জীবন ফিরে পেয়ে আমরা তার কাছে এবং খোদার কাছে কৃতজ্ঞ হই, কিন্তু, একবারও ভাবি না একটু সচেতন হলেই আমি এ ঝুঁকি এড়াতে পারতাম।
যার জীবন আছে তার মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু, অনভিপ্রেত মৃত্যু কারোরই কাম্য নয়। যে-কোনো অসুখে-বিসুখে, রোগেভোগে, দূর্ঘটনায় মানুষ মারা গেলে এখনো কিছু মানুষ বলে, আল্লার মাল আল্লায় নিয়া গেছে, হায়াত ছিল না তাই মরে গেছে। এটা একটা সান্ত্বনা। একদিন পৃথিবীতে এর চেয়ে অনেক কম মানুষ ছিল, কিন্তু, মৃত্যুহার ছিল অনেক বেশি। এখন তো গড় আয়ু অনেক বেড়েছে। একটু সচেতন হলেই মৃত্যুঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এবং সচেতনতার জন্য চাই জীবনের জন্য ভালোবাসা। জীবনকে ভালোবাসতে পারলেই জীবন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ে। সচেতনতাই জীবনকে ভালোবাসা। সেটা শুধু নিজের শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নয়, সমাজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও। জীবনকে ভালোবাসা মানে সুস্থ-সুন্দর জীবন কাটানো। নৈতিক-মানবিকবোধই জীবনকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান করে।
ফ্রয়েড বলেছিলেন, মানুষ মরতে চায় বলেই মরে। মানুষের মধ্যে একটা ভয়ঙ্কর ধ্বংসাত্বক, মৃত্যুপ্রবণতা আছে। এটাকে তিনি বলেছেন ডেথ ইনস্টিংট, ডেথ ড্রাইভ বা সেলফ-ডেসট্রাকশন। মৃত্যু কামনা বা আত্ম-বিনাশী প্রবণতা। কেন মানুষের মধ্যে এই মৃত্যু-কামনা বা আত্ম-বিনাশী প্রবণতা দেখা দেয়? মানুষ যে শুধু নিজের জীবন ধ্বংস করছে তাই না, সে অন্যের জীবনের জন্যও হুমকি হয়ে উঠছে। অন্যকে ধ্বংস করার প্রবণতা মূলত নিজেকেই ধ্বংস করার প্রবণতা। কারণ, আমি যখন অন্যকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করব, সেও নিশ্চয়ই বসে থাকবে না। চোখের বিনিময়ে চোখ এই রীতিতে সমস্ত মানবতা অন্ধ হয়ে যায়। হত্যা এই জন্যই নিষিদ্ধ যে এতে করে সমগ্র মানবতাকে হত্যা করা হয়।
মানুষ সমস্ত প্রকৃতির জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। মানুষ ছাড়া প্রকৃতির ক্ষতি আর কোনো প্রাণী করেনি। একমাত্র মানুষের কারণে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে, সমস্ত প্রাণীকূল বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সম্পদ আহরণের জন্য মাটির যতোটুকু গভীরে যাওয়া যায় মানুষ গেছে। ভূগর্ভের সমস্ত তেল তুলে ফেলছে। এক বাংলাদেশেই প্রতিদিন যে পরিমাণ পেট্রোল গাড়িতে ভরা হয় তা যদি একসাথে কোনো নদীতে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে কী পরিমান প্রবাহ হবে? আস্ত একটা মেঘনা নদী হয়ে যাবে না! তাহলে সারাপৃথিবীতে প্রতিদিন কতো লক্ষ-কোটি ব্যারেল তেল পোড়ানো হয়? এতে করে যে ভূগর্ভ খালি হয়ে যাচ্ছে তার ফল একদিন মানুষ ভোগ করবে না? আর ওই তেল পুড়ে যায় কই? তাতে করে কার্বণ নিঃসরণ বাড়ছে। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বাড়ছে। ফলে লক্ষ বছর ধরে জমাটকৃত বরফ গলে যাচ্ছে। তাতে করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলগুলো ডুবে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই পৃথিবীর কয়েক কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়ে যাবে। ভিটাবাড়ি হারানো এইসব মানুষগুলো এসে আশ্রয় নেবে শহরাঞ্চলে। জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। অপরাধ বাড়বে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার শর্তে মানুষ আর নীতি-নৈতিকতার ধার ধারবে না। মানুষকে হত্যা করতে চাইলে মানুষ যেমন প্রতিশোধ নেয়, প্রকৃতিকে হত্যা করার বিপরীতে প্রকৃতিও তেমন প্রতিশোধ নেবে প্রাকৃতিকভাবেই। কোভিড-১৯ ভাইরাসে সারা পৃথিবী স্থবির হয়ে গিয়েছিল। কে জানে অচিরেই এর চেয়ে ভয়ঙ্কর কেনো মারণঘাতি ভাইরাস আসবে কিনা!
বর্তমান পৃথিবীতে ১০ কোটি মানুষ গৃহহীন। ২ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত। যুদ্ধ-পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিভিন্ন অঞ্চলে। যে- কোনো মুহূর্তে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাওয়ার আতঙ্কে মানুষ দিশাহারা।
ইতিহাসের যে-কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান পৃথিবীর মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এখন সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। জ্ঞান-বিজ্ঞান-তথ্য-প্রযুক্তিতে ইতিহাসের যে- কোনো সময়ের তুলনায় আজ সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ। এবং মানুষ তার ইতিহাসের যে- কোনো সময়ের তুলনায় এখন সবচেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত। তার এই আতঙ্কের নাম আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ। সমগ্র মানবসভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবার ভয়। ইতিহাসের আর কোনো সময়ই মানুষকে তার সমগ্র প্রজাতি ধ্বংস হয়ে যাবার আতঙ্ক নিয়ে জীবন কাটাতে হয়নি। মানুষ নিজের জীবন, নিজের পরিবার, নিজের দেশ হারানোর ভয় করেছে। কিন্তু, নিজের সমগ্র প্রজাতি হারানোর ভয় করেনি। এ আতঙ্ক তার মৃত্যুবোধের আতঙ্কের চেয়েও প্রবল।
এর চেয়েও ভয়াবহ ব্যাপার মানুষ তার জীবনের মহত্তম অর্থ হারিয়ে ফেলেছে। ইতিহাসের আর কোনো সময়ে এটাও এতো প্রবলভাবে হয়নি। শুধু অর্থ-সম্পদ অর্জন, পরিবার দেখাশোনা, ব্যক্তিগত সফলতা কারো জীবনের অন্তিম উদ্দেশ্য হতে পারে না।
মানুষ এখন ভয়াবহ নিঃসঙ্গতাবোধে আক্রান্ত। নিঃসঙ্গতার কারণ তার অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা। এটাও তার ইতিহাসের আর কোনো সময়ই হয়নি। ইতিহাসের সমস্ত সময় জুড়ে মুষ্টিমেয় মানুষ ছিল একজন রাজা বা কতিপয় জমিদারের অধীনে। সমাজের বেশির ভাগ মানুষের অবস্থাই ছিল প্রায় একইরকম। কিছু ব্যবসায়ী বা সম্পন্ন গৃহস্থ হয়তো ছিল একটু আলাদা। কম-বেশি পার্থক্য ছিল। কিন্তু এমন আকাশ-পাতাল পার্থক্য ছিল না জনে জনে। এখন পুঁজিবাদি সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করছে, তুমিও চাইলে জমিদার হতে পারো। তুমিও চাইলে বিরাট ব্যবসায়ী হতে পারো। মানুষকে ঠেলে দেয়া হয়েছে ভয়ঙ্কর এক প্রতিযোগিতার দিকে। এখন শুধু একটি দেশের সঙ্গে একটি দেশের নয়, একটি কোম্পানির সঙ্গে একটি কোম্পানির নয়, একটি পরিবারের সঙ্গে একটি পরিবারের নয়, একজন মানুষের সঙ্গেই একজন মানুষের লড়াই করতে হয়। একজন মানুষ একদম চোখের সামনেই দেখছে তার এক বন্ধু কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে, আর সে নিজে কিছুই করতে পারলো না।
তার চেয়েও ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে মানুষের জীবনে বেঁচে যাওয়া অফুরন্ত অবসর সময়। আদিম কৃষিব্যবস্থায় তাকে সারাদিন যে গাধার খাটুনিটা দিতে হতো এখন সেটা আর দিতে হয় না। প্রযুক্তি তার অনেক সময় বাঁচিয়ে দিয়েছে। ব্যস্ততা বেড়েছে, কিন্তু, একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে সেগুলোর বেশির ভাগই কৃত্রিম। চাহিদা পূরণের অক্লান্ত লড়াই তাকে ঠেলে দিয়েছে ইঁদুর দৌড়ে। এ চাহিদাগুলোও তার মৌলিক না, টিকে থাকার অনিবার্য শর্ত না, বরং তার সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্য, এবং এগুলোও বাইরে থেকে আরোপিত।
মানুষের জীবন এখন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ করে দেয় যে তুমি এই মানের জীবন কাটাতে না পারলে তুমি ব্যর্থ। মানুষের সামাগ্রিক জীবন এখন অর্থ দিয়েই পরিমাপ করা হয়। পুঁজিই হয়ে গেছে একমাত্র ঈশ্বর। কিন্তু, শেষ বেলায় একদিন তাকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় এ জীবনের অর্থ কী? এতো টাকা দিয়ে আমি কী করবো!
জীবনের অর্থ খোঁজার তাড়নাটাও আর রাখা হয়নি। অবসর সময়টা কাটানোর জন্য কৃত্রিম ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। পুঁজিবাদই তা করেছে। বলেছে ঘুরতে যাও, সিনেমা দেখতে যাও, বন্ধুদের নিয়ে পার্টি দাও, ফেসবুকিং করো, আর একেবারেই যদি কিছু না করার থাকে নেশা করো, তাও যদি না পারো তাহলে আত্মহত্যা করো।
আত্মহত্যার প্ররোচনা এই সমাজ-ব্যবস্থাই দেয়। কারণ এখানে এই সত্য প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে যে যে- যোগ্য সে-ই টিকে থাকবে। যে যোগ্য না, কিন্তু, প্রশ্ন করবে এই সমাজ-ব্যবস্থা নিয়ে তার নিজেকে এখান থেকে সরিয়ে ফেলাই উত্তম।
এটা কেউ পরিকল্পনা করে করেনি। রাষ্ট্র এ ব্যবস্থা পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করে না। কিন্তু, সামগ্রিক ব্যবস্থা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অবস্থাটার জন্ম দিয়েছে। এবং এর চেয়েও ভয়াবহ আর কিছু নাই। যখন পরিকল্পনা করে কোনো কিছু আরোপ করা হয় তার বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়, পাল্টা পরিকল্পনা দেয়া যায়। কিন্তু, যখন তা নিজে থেকেই জন্ম নেয় তখন মনে হয় অবস্থাটা বুঝি প্রাকৃতিক। তখন নিজের কাছেই বিশ্বাস হয় আমি অভিশাপের শিকার, মানে মানে নিজের সরে যাওয়াটাই ভালো।
মানবসভ্যতার সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট এখন যুদ্ধ নয়, দুর্ভিক্ষ নয় — আত্মহত্যা। যুদ্ধও একপ্রকার আত্মহত্যাই। দলবেঁধে আত্মহত্যা। দুর্ভিক্ষের সৃষ্টিও এখন আর প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে হয় না, হয় দলগত আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে। সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগও বস্তুত আত্মহত্যার প্রবণতাই। প্রকৃতিকে শোষণ করতে গিয়ে মানুষ প্রকৃতিকে নিজের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।
কোনো একটি প্রজাতি যখন বুঝতে পারে সে আর পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না তখন সে ধীরে ধীরে নিজেকে বিলুপ্ত করে দেয়। মানুষ কি এটা কোনোভাবে বুঝতে পারছে? নিম্নশ্রেণীর বুদ্ধিহীন প্রাণীরা যদি তা পারে মানুষ কেন পারবে না?
আর এটা বোঝা না বোঝা দিয়েও কিছু আসে যায় না, এটা একেবারে প্রাকৃতিক নির্বাচন। জঙ্গল থেকে বাঘ-সিংহ-বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যেমন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে একদিন মানুষও তার সভ্যতা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অস্তিত্ব সংকট দেখা দিলে প্রাণীদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়, মানুষও তার প্রজনন ক্ষমতা হারাতে শুরু করেছে। উন্নত অনেক দেশে অনেকের নাকি এখন আর বাচ্চা নিতে ইচ্ছে করে না। এই যে তার ইচ্ছে করে না এটা সে ভাবছে তার নিজের ইচ্ছা, কিন্তু, কে জানে এটা প্রকৃতিরই পরিকল্পনা কি-না!
এমন কি, ২০১৭ সালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষের শুক্রাণু কমে যাচ্ছে। এতে করেও মানুষ বিলুপ্ত হতে পারে বলে আশংকা করছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় দুইশটি গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, ৪০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট। যদি পুরুষের স্পার্ম আর কাজ না করে তাহলে কী করার থাকবে? নারীরা যদি আর গর্ভবতী না হয় তাহলে কি ল্যাবরেটরিতে মানুষ উৎপাদন সম্ভব?
Discussion about this post