দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতি মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস প্রবাসী আয়। এর বাইরে প্রধান উৎস- রপ্তানি আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বৈদেশিক ঋণ। রপ্তানি আয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি বড় উৎস হলেও বাংলাদেশে আমদানি ব্যয় বেশি। ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। বাকি দুই প্রধান উৎসের মধ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগের অবদান সামান্য, বৈদেশিক ঋণের প্রবাহও কম। এ রকম এক পরিস্থিতিতে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায়, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ওপর খুবই চাপ বাড়ছে।
গত সাড়ে তিন বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় এসেছে গত সেপ্টেম্বর মাসে। গত মাসে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক টাকা সমান ১০৯ টাকা ৫০ পঞ্চাশ পয়সা হিসাবে) এর পরিমাণ ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত মাসে দেশে যে প্রবাসী আয় এসেছে, তা গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ কম এবং গত আগস্টের তুলনায় এই আয় প্রায় ১৬ শতাংশ কম। আর ২০২০ সালের জুলাইয়ে আসা সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয়ের হিসাব বিবেচনায় নিলে গত মাসে আয় কমেছে ৪৮ শতাংশের বেশি। অথচ গত দুই বছরে বিদেশে নতুন করে কর্মসংস্থান হয়েছে ২০ লাখ বাংলাদেশির।
এখনে উল্লেখ করা যায়, গত তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে শ্রমিকের অভিবাসন চার গুণের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে, কিন্তু সৌদি থেকে রেমিট্যান্স আয় কমেছে ১৭ শতাংশ। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে ১ লাখ ৬১ হাজার বাংলাদেশি উপসাগরীয় দেশটিতে চাকরিতে গেছেন; ২০২১ সালে গেছেন ৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ২০২২ সালে ৬ লাখ ১২ হাজার। শ্রমিকের এই বিপুল বৃদ্ধির সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহের কোনো সম্পর্ক থাকছে না। কেননা, প্রবাসী আয়ের বড় অংশই আসছে হুন্ডিতে। আরও ভয়ের ব্যাপার হলো, প্রবাসী আয়ের একটা বড় অংশ দেশেই আসছে না।
সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আসে এমন ১০টি উৎস দেশের মধ্যে ৭টি থেকেই আয় কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের উৎস যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় আসা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে দেশে প্রবাসী আয়ের শীর্ষ ১০ উৎস হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, কাতার ও বাহরাইন। এই ১০টি দেশ থেকে ৮৬ শতাংশ প্রবাসী আয় এসেছে। এর মধ্যে ইউএই, যুক্তরাজ্য, ওমান থেকে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। বাকি সাতটি দেশ থেকে কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। গত বছর একই সময়ে দেশটি থেকে এসেছিল ৯৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর মানে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটি থেকে প্রবাসী আয় আসা কমেছে ৪৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। এতে প্রবাসী আয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান থেকে চতুর্থ অবস্থানে নেমে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত অর্থবছরের হিসাবে প্রবাসী আয়ে শীর্ষ দুই দেশ ছিল সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। এবার শীর্ষে ইউএই। গত তিন মাসে দেশটি থেকে ৮৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, যা গত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। প্রবাসী আয়ের উৎস দেশের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সৌদি আরব (৮১ দশমিক ৭২ কোটি ডলার) ও যুক্তরাজ্য (৫৮ দশমিক ৮৮ কোটি ডলার)।
এমন সময়ে রেমিট্যান্স কমছে, যখন বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ নিয়ে সংকটের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। প্রবাসী আয় বাড়াতে যে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, তা এখন আর কাজ করছে না বলেই মনে হচ্ছে। এখন প্রবাসী আয়ে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে নগদ ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা চালু করেছিল সরকার। শুরুতে এই প্রণোদনা ভালো ফল দিলেও পরে এটি কার্যকারিতা হারায়। ফলে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা আড়াই শতাংশ করা হয়। কিন্তু তাতেও প্রবাসী আয় খুব বাড়েনি। ফলে শুরুতে প্রণোদনা দেওয়ার পর দেশে প্রবাসী আয়ের যে প্রবাহ তৈরি হয়েছিল, তা ধরে রাখা যায়নি। প্রতিবছর অনেক মানুষ কাজের জন্য বিদেশে যাচ্ছে। বর্তমানে এক কোটি মানুষ বিদেশে কাজ করছে, কিন্তু প্রবাসী আয় সেভাবে বাড়ছে না। এ অবস্থায় প্রণোদনা অর্থের সম্পূর্ণ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এই অদূরদর্শিতার কারণে সরকার বছরে পাঁচ-ছয় হাজার কোটি টাকা জলে ফেলছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, প্রবাসী আয় কমার পেছনে প্রধান কারণ অর্থ পাচার। সামনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্বাভাবিকভাবে এখন অনিশ্চয়তা অনেক বেশি। ফলে যারা বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে, তাদের একটা অংশ এ সময় সেই অর্থ পাচারের চেষ্টা করছে। এর আগেও প্রতিটি নির্বাচনের সময়ে এ ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। তবে এ বছর অনিশ্চয়তাটা একটু বেশি। ফলে পাচারের পরিমাণটাও একটু বেশিই হবে। যারা অর্থপাচার করে, তাদের জন্য ডলারের দর কত, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে কোনো দরেই তারা রাজি থাকে। এর ফলে ডলারের দাম বেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে প্রবাসী আয়ে। অর্থাৎ যারা অর্থ পাচার করছে, তারাই প্রবাসী আয়ের ডলার নিয়ে নিচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ”রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, প্রবাসীরা ব্যাংকের বাইরে বেশি রেট পাচ্ছে, তারা হুন্ডি করে টাকা পাঠাচ্ছে। এটাও মুদ্রা পাচারের মধ্যে পড়ছে।
প্রবাসী শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা দেশে বসে প্রবাসী আয়ের টাকা ঠিকই পাচ্ছেন। মোটামুটি ভালো দরেই তাঁরা এটা পাচ্ছেন। কিন্তু প্রবাসী আয়ের এই ডলার বাংলাদেশ সরকার পাচ্ছে না। আর এর প্রভাব পড়ছে দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্ট, রিজার্ভ ও বিনিময় হারের ওপরে। বৈধ চ্যানেলের বাইরে প্রবাসীরা তাদের আয় করা অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন বলে বিশ্বাস করলেও আসলে ডলার, রিয়েল, দিনার বা রিঙ্গিত আসলে সেই দেশেই থেকে যাচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশি যে দেশে আছেন তিনি সে দেশের মুদ্রায় পেমেন্ট করেন। অন্যদিকে বাংলাদেশি টাকায় এখানে তার স্বজনদের বিনিময় মূল্য দিয়ে দেওয়া হয়।
তবে রেমিট্যান্স কমার একাধিক কাঠামোগত সমস্যা আছে। মধ্যপ্রাচ্যে যে প্রবাসীরা আকামা ছাড়া ভিজিট কিংবা বিজনেস ভিসায় যাচ্ছে, তারা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে পারে না। তাই সরকারকে ওয়ার্ক পারমিট বা আকামাসহ লোক পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অন্য কারণ, অদক্ষ শ্রমিকের নিম্ন মজুরির বিপরীতে বিদেশ গমনের উচ্চ ব্যয়। বিমানবন্দর ট্যাক্স, বিমান ভাড়া, এজেন্ট ফি কমিয়ে সরকারকে বিদেশ গমনের খরচ কমাতে হবে।
হুন্ডির রেট বেশি। হুন্ডির তাৎক্ষণিক সেবার বিকল্প তৈরি করতে পারেনি সরকার। প্রবাসীর এক ফোন কলেই হুন্ডির টাকা দেশে তার পরিবারের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছে যায়। বিপরীতে প্রবাসীরা সুবিধামতো সময়ে প্রবাসী হুন্ডি সংগ্রহকারীদের অর্থ দেয়। বড় হুন্ডি সংগ্রহকারীরা তা ব্যবহার করছে বৈদেশিক মুদ্রার নতুন সাপ্লাই চেইনে। টাকা পাচার ও হুন্ডি বাণিজ্যের বড় বাধার পাশাপাশি ডলারের দরে পার্থক্য থাকায় খোলাবাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারছে না ব্যাংকগুলো। খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করে টাকার মান ধরে রাখার কৌশলও ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। এতে রিজার্ভ ক্ষয় হচ্ছে, হুন্ডিও বাড়ছে। হুন্ডির চেয়ে কম রেট মানুষকে ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি বিমুখ করে রাখে। গত এক বছরে টাকার মান দ্রুত কমলেও অব্যাহত মূল্যস্ফীতির মুখে এখনও টাকা অতিমূল্যায়িত থেকে গেছে। একদিকে হুন্ডির রয়েছে ডোর টু ডোর ও সার্বক্ষণিক বা ২৪/৭ সেবা। অন্যদিকে ব্যাংকিং সেবার মান নিয়ে মানুষ বিরক্ত। প্রথমবার রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো খুব হয়রানি করে। অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র চায়। এতে শুরুতেই প্রবাসীদের আস্থা উঠে যায়।
অনেকেই বলছেন, এই হুন্ডির পেছনে সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক মুদ্রানীতি ও অর্থপাচারই মূলত দায়ী। ডলারের বিনিময়ে টাকার মূল্যমান বাজারের হাতে ছেড়ে না দিয়ে সরকার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, যার ফল হয়েছে হিতে বিপরীত। সরকারের বেঁধে দেওয়া হারের চেয়ে কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি।
সম্প্রতি রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, মালদ্বীপ থেকে ৬৬% শ্রমিক হুন্ডিতে টাকা পাঠায়। তাদের মধ্যে ৬৪%-এর ব্যাংক হিসাবই নেই। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশ মালদ্বীপে বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিক আছেন দুই লাখের মতো। বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা আনুমানিক সোয়া এক কোটি। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ থেকে কী পরিমাণ প্রবাসী আয় হুন্ডির মাধ্যমে আসে, তা সহজেই অনুমান করা যেতে পারে।
প্রবাসী আয় কমার পেছনে দ্বিতীয় কারণ আন্তঃব্যাংক ও কার্ব মার্কেটের (খোলাবাজারের) মধ্যে ডলারের দরের বড় পার্থক্য। দুই দরের মধ্যে এখনো ব্যবধান প্রায় আট টাকার মতো। এটা অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে প্রবাসী আয় পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করে। মুদ্রার বিনিময় হারের পার্থক্য আরও কমাতে পারলে প্রবাসী আয় কিছুটা বাড়তে পারে।
অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছে, “রেমিট্যান্স এভাবে কমে আসার কারণ তারা উদঘাটনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কী কারণে হঠাৎ রেমিট্যান্স কমে গেলো, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ রেমিট্যান্স কেন কমেছে তা অনুসন্ধান করছে। ডলার কেনাবেচার সঙ্গে রেমিট্যান্স কমার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে বলেও জানান তারা। “রেমিট্যান্স যাতে না কমে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ব্যাংককে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। বেশ কিছু মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে ও কিছু মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।” কিন্তু এতে কোন সুফল আসছে বলে মনে হয় না।
সর্বশেষ তথ্য মতে, এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলারের মতো রিজার্ভ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত সেটা যেন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে না নামে সে দিকে নজর দেওয়া। প্রয়োজনে বন্ধু কোনো দেশ থেকে সফট লোন হিসেবে রিজার্ভ সহায়তা ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করা। এবং টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া। এটা করা গেলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে একটা বার্তা যাবে, তাতে প্রবাসী আয়ও বাড়বে।
দেশের এই অবস্থায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর না হলে রেমিট্যান্স প্রবাহে হয়তো গতি আসবে না। একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীও মনে করেন, “রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে অর্থপাচারকারী হুন্ডিচক্রের একটি যোগসূত্র থাকতে পারে। এছাড়া আন্ডার ইনভয়েসিং এবং অর্থপাচারের কারণে হুন্ডি বেড়েছে।”
তাছাড়া প্রবাসী আয়ের এ ধরনের পতন দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। এবং এভাবে প্রবাসী আয় কমলে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ এবং আমদানি বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। আর আমদানি কমে গেলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে আঘাত আসবে। এভাবে এক খাত থেকে আরেক খাত হয়ে অর্থনীতির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।
Discussion about this post